শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩৫, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু
রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খাৎনার জন্য অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার পর শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসকের দায়বদ্ধতা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আয়ানের মা-বাবাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া অনুমোদনহীন সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করতে সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানির কথা রয়েছে।
তদন্ত কমিটি তাদের সুপারিশে উল্লেখ করেছে, শিশু আয়ানের মৃত্যুর জন্য দায়ী হওয়ায় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে। ক্ষতিপূরণের একটি অংশ পাবে আয়ানের বাবা-মা। বাকি অংশ দিয়ে অসহায় শিশু ও কিশোর/কিশোরীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়া অনুমোদনহীন চিকিৎসা কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়ে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে এবং শিশু আয়ানের চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় জড়িত চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবীন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট সৈয়দ সাব্বির আহম্মদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এর পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত লিখিত সম্মতিপত্রটি বাংলায় বড় বড় অক্ষরে স্পষ্ট ও বোধগম্যভাবে লিখার সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে রোগীর বাবা-মা বা অভিভাবকেরা সেটি সহজে পড়তে পারেন এবং চিকিৎসা ও তার পরবর্তী ফলাফল সম্পর্কে বুঝে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিকিৎসা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সেগুলো খুঁজে বের করে অবিলম্বে সেখানে চিকিৎসা কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খাৎনার জন্য রাজধানীর বাড্ডার মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নার্সারি পড়ুয়া শিশু আয়ানকে। খাৎনা করাতে সাধারণত লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দেয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ ছিল, তাকে পুরো শরীর অ্যানেসথেসিয়া দেন চিকিৎসকরা। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি আয়ানের। এরপর তড়িঘরি তার পরিবারকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা বলা হয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আয়ান।