ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ রমজান ১৪৪৬

সালতামামি ২০২৪

বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হলিউড! সিকুয়াল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে মানরক্ষা

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:০০, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৯:২৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈচিত্র্য হারাচ্ছে হলিউড! সিকুয়াল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে মানরক্ষা

শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সাল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও অসংখ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে হলিউডে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি হলিউড এ বছর ব্যবসাসফল সিনেমার বেশ বিরাট তালিকা বহণ করেছে। এ বছর প্রত্যাশিত অনেক চলচ্চিত্র যেমন বক্স অফিসে জাদু চালাতে পারেনি, তেমনি বহু চলচ্চিত্র প্রত্যাশা ছাপিয়ে বক্স অফিস কাঁপিয়েছে। চলতি বছরে হলিউড সিনেমার সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে সিক্যুয়াল থেকে।

উচ্চাশা থেকে ব্যর্থতা

এমন সিনেমার সংখ্যাই বেশি, যেগুলো নিয়ে উচ্চাশা ছিল সবার, কিন্তু বক্স অফিসে চরম ব্যর্থ হয়েছে। ‘জোকার: ফোলি আ ডিউক্স’, ‘ক্রাভেন দ্য হান্টার’-এর মতো আলোচিত সিনেমা যে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে, ভাবেননি কেউ। হলিউডের বড় বড় স্টুডিওতে ব্যাপক ছাঁটাই, শ্রমিক অসন্তোষ, বিনোদন সেক্টরে ব্যয় সংকোচনের ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া—এসব সংকট মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো বছরজুড়ে লেগে ছিল হলিউডে। 

অ্যানিমেশন ও হররের বছর

চমক দেখিয়েছে অ্যানিমেশন ও হরর সিনেমা। ২০২৪ ছিল অ্যানিমেশনের রাজত্ব করার বছর। প্রায় ২০০ কোটি ডলার ব্যবসা করে ‘ইনসাইড আউট টু’ সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল অ্যানিমেশন সিনেমার তকমা পেয়েছে। ‘মোয়ানা টু’ পৌঁছে গেছে ১০০ কোটির ঘরে। মোটামুটি ব্যবসা করছে ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’। এর বাইরে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’, ‘কুং ফু পান্ডা ফোর’ ও ‘অরিয়ন অ্যান্ড দ্য ডার্ক’-এর হালচাল ও ছিল প্রশংসনীয়।

হরর সিনেমাও পেয়েছে অপ্রত্যাশিত সাফল্য। ‘লংলেগস’, ‘নসফেরাতু’ ও ‘স্মাইল টু’ দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘দ্য সাবস্ট্যানস’, ‘দ্য ফার্স্ট উইমেন’, ‘হেরেটিক’, ‘আবিগেইল’, ‘লিসা ফ্রাঙ্কেস্টাইন’, ‘আ কোয়াইট প্লেস: ডে ওয়ান’সহ ভৌতিক সিনেমা কুড়িয়েছে প্রশংসা।

সিকুয়াল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে মানরক্ষা

বছরের সেরা ১০ সিনেমাই কোনো না কোনোভাবে অন্য সিনেমার সিকুয়াল, রিমেক কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ। উদাহরণ হিসেবে আসবে ‘ইনসাইড আউট টু’, ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’, ‘মোয়ানা টু’, ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’, ‘ডুন পার্ট টু’, ‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এমপায়ার’ ও ‘কুং ফু পান্ডা ফোর’। ২০২৪ সালে বক্স অফিসের হালহকিকত দেখে সিনেবোদ্ধারা প্রশ্ন তুলেছেন হলিউডের নির্মাতাদের সক্ষমতা নিয়ে। তারা কি নতুন গল্প লিখতে পারছেন না, নাকি স্টুডিওগুলো মৌলিক গল্পের চেয়ে হিট হওয়া সিনেমার ওপর বাজি ধরতেই বেশি আগ্রহী? উত্তর যেটাই হোক, ২০২৪ সাল হলিউডের জন্য বৈচিত্র্য হারানোর বছর। অবশ্য সুপারহিরোকেন্দ্রিক সিনেমাগুলোর চরম ব্যর্থতার পর সিনেমার গল্প নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে স্টুডিওগুলোর।

সর্বোচ্চ আয়ের ১০ হলিউড সিনেমা

‘ইনসাইড আউট ২’, ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’, ‘উইকেড’, ‘মোয়ানা ২’, ‘ডেসপিকেবল মি ৪’, ‘বিটলজুস বিটলজুস’, ‘ডিউন ২’, ‘টুইস্টারস’, ‘গডজিলা এক্স কং: দ্য নিউ এম্পায়ার’, ‘কুংফু পান্ডা ৪’।

তিন প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্য

বছরজুড়ে তিন প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্য চলেছে। সেরা ১০টি সিনেমার বেশির ভাগই এসেছে ডিজনি, ইউনিভার্সাল কিংবা ওয়ার্নার ব্রুস থেকে। যদিও ২০২৩ সালের সামগ্রিক টিকিট বিক্রির তুলনায় চলতি বছর ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে বিক্রির পরিমাণ। ২০২৩ সালে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি বেশ কঠিন সময় পার করলেও ২০২৪ সালে বক্স অফিসে প্রতিষ্ঠানটি তার হারিয়ে যাওয়া মসনদ পুনরুদ্ধার করেছে। পরপর তিনটি প্রত্যাশিত বিলিয়ন-ডলার ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েছে। ‘ইনসাইড আউট ২’ থেকে ১৬৯ কোটি ডলার, ‘ডেডপুল ও ওলভারিন’ থেকে ১৩৩ কোটি ডলার ও ‘মোয়ানা ২’ থেকে ৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছে ডিজনি। জানুয়ারির মধ্যে ‘মোয়ানা ২’র আয়ও ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করবে বলে ধারণা করছেন হলিউডের সিনেমাবোদ্ধারা। ডিজনি ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এ বছর একটাও বিলিয়ন ডলারের সিনেমা দিতে পারেনি।

২০২৪ সাল প্যারামাউন্টের জন্য কিছুটা ভালো ছিল, তবে ডিজনির মতো অসাধারণ নয়। ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’ সিনেমাটির আয় ছিল ৪০ কোটির বেশি। কিন্তু এর পেছনে খরচও ছিল বিশাল। এ সিনেমার বাইরে কম খরচে কিছু সিনেমা তৈরি করেছে প্যারামাউন্ট, যা দিন শেষে লাভের দেখা দিয়েছে। ‘মিন গার্লস’-এর আয় ছিল ১০ কোটি ও ‘স্মাইল ২’র ১৩ কোটি ডলার। যদিও ‘ইফ’ ও ‘ট্রান্সফরমারস ওয়ান’ প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করেনি।

অন্যদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনির জন্য বছরটা একেবারে মন্দ যায়নি। ‘ব্যাড বয়েজ’ ও ‘গারফিল্ড’ মুভি বক্স অফিসে ভালো করেছে। ‘ইন এন্ডস উইথ আস’ও যথেষ্ট সফল ছিল। কিন্তু ‘স্যাটারডে নাইট’ ও ‘ক্র্যাভেন দ্য হান্টার’-এর মতো সিনেমা সনিকে বেশ ভুগিয়েছে। বিপরীতে অনেকটাই অসাধ্য সাধন করেছে ইউনিভার্সাল। বক্স অফিসে ফ্লপ হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও উইকেড ছিল সফল। চলতি বছর ‘হাউস অব গুচি’র জন্য লেডি গাগা আলোচিত হয়েছেন। অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে ‘ডেসপিকেবল মি ৪’ ও ‘কুং ফু পান্ডা ৪’ পেয়েছে দর্শকপ্রীতি। স্টুডিওর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল ‘দ্য ফল গাই’।

ওয়ার্নার ব্রুসের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলো ছিল বিশৃঙ্খল। ‘ডুন: পার্ট ২’ বক্স অফিসে ঈর্ষণীয় সফলতা দেখিয়েছে। তারপরও ‘ম্যাক্স: ফিউরি রোড’ ও ‘হরাইজন’-এর ব্যর্থতা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে প্রতিষ্ঠানটিকে।

হলিউডে অ্যাপল ও আমাজন

চলতি বছর হলিউডে নতুন পা রেখেছে অ্যাপল ও অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান। এখনও তারা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। হলিউডের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপলের অবস্থান যথেষ্ট হতাশাজনক। প্রতিষ্ঠানটি ফোন ও কম্পিউটার বানাতে বেশ দক্ষ হলেও সিনেমায় এখনও সেভাবে সফল নয়। টেক জায়ান্টটি বড় বাজেটের ‘আর্গাইল’ ও ‘ফ্লাই মি টু দ্য মুন’ প্রকল্পগুলো থেকে তেমন সাফল্য পায়নি।

বাণিজ্যিক সিনেমার বাইরে প্রশংসিত

বাণিজ্যিক সিনেমার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু চলচ্চিত্র সমালোচকদের নজর কেড়েছে। এর মধ্যে শুরুতেই উল্লেখ করতে হবে ‘আনোরা’র কথা। কান উৎসবে স্বর্ণপাম জিতে আলোচনায় আসে শন বেকারের সিনেমাটি। কান উৎসবে বেশির ভাগ সময়ই সেরা সিনেমার পুরস্কার জেতে ইউরোপীয় সিনেমা, যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কারটি এসেছে ১৩ বছর পর। এক যৌনকর্মীর গল্প নিয়ে নির্মিত ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে গেছেন মাইকি ম্যাডিসন।

২৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বছরের অন্যতম বড় প্রাপ্তি। এ ছাড়া শিল্পমান বিচারে সমালোচকদের পছন্দের তালিকায় ছিল কোরেলি ফারজার ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’, স্টিভ ম্যাককুইনের ‘ব্লিটজ’, লুকা গুদানিনোর চ্যালেঞ্জার্স, জেমস ম্যানগোল্ডের ‘আ কমপ্লিট আননোন’, রিডলি স্কটের ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’, হ্যালিনা রেজিনের ‘বেবিগার্ল’,  ইয়োর্গস লান্থিমোসের ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’, অ্যালেক্স গারল্যান্ডের ‘সিভিল ওয়ার’, পেড্রো আলমোডোভারের ‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’, ব্র্যাডি করবেটের ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’, এডওয়ার্ড বার্গারের ‘কনক্লেভ’, ক্রিস স্যান্ডার্সের ‘দ্য ওয়াইল্ড রোবট’, জিয়া কপোলার ‘দ্য লাস্ট শোগার্ল’।

আলোচিত তারকা

২০০৯ সালে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সিডনি সুইনি। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম... ইন হলিউড’ এবং ‘এনিওয়ান বাট ইউ’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি পরিচিতি অর্জন করেন। ‘ইউফোরিয়া’, ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’, ‘শার্প অবজেক্টস’ এবং “দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেইল” সিরিজগুলোতেও তাকে দেখা গেছে। ২০২৪ সালে সিডনি সুইনি হলিউডের দুই জনপ্রিয় সিনেমা ‘মাদাম ওয়েভ’ ও ‘ইম্যাকুলেট’-এ অভিনয় করেছেন।

এলা পারনেল ২০১০ সালে ‘নেভার লেট মি গো’ সিনেমায় অভিনয় করে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ‘কিক-অ্যাস ২’, ‘ম্যালিফিসেন্ট’, ‘মিস পেরেগ্রিন’স হোম ফর পিকিউলিয়ার চিলড্রেন’ এবং ‘স্টার ট্রেক : প্রডিজি’সহ একাধিক বিখ্যাত সিনেমায় কাজ করেছেন। চলতি বছর ‘ফল আউট’ ও ‘সুইট পি’তে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি।

২০০৬ সালে ‘দ্য সোপ্রানোস’ সিরিজের তিনটি পর্বে অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিস্টিন মিলিয়টি। এরপর ‘দ্য উলফ অব ওয়াল স্ট্রিট’ সিনেমা এবং ‘হাউ আই মেট ইওর মাদার’, ‘ফার্গো’, ‘ব্ল্যাক মিরর’, ‘মডার্ন লাভ’-এর মতো টিভি সিরিজেও কাজ করেন। চলতি বছর তিনি সবার মন জয় করেন ‘দ্য পেঙ্গুইন’ এবং ‘হিট মাংকি’-এ কাজ করে।

মেক্সিকোর টেলিনোভেলা থেকে হলিউডে আসা এইজা গঞ্জালেজ বেশ কয়েকটি হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ‘বেবি ড্রাইভার’, ‘আলিতা : ব্যাটল অ্যাঞ্জেল’, ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস প্রেজেন্টস : হব্বস অ্যান্ড শ’, ‘ব্লাডশট’ এবং ‘গডজিলা ভার্সাস কং’ উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালে তার আলোচিত কাজের মধ্যে ছিল ‘থ্রি বডি প্রবলেম’, ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব আনজেন্টলম্যানলি ওয়ারফেয়ার’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ও ‘লা মাকিনা’।

২০০৩ সালে ‘স্পাই কিডস থ্রিডি : গেম ওভার’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন গ্লেন পাওয়েল। এরপর ‘টপ গান: মাভেরিক’, ‘টুইস্টার্স’, ‘হিডেন ফিগার্স’ এবং ‘স্ক্রিম কুইন্স’সহ ৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। দক্ষতা ও বৈচিত্র্য তাকে তারকা খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। চলতি বছরে গ্লেন পাওয়েল ‘হিটম্যান’ ও ‘টুইস্টার’ ছবিতে কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন।

হলিউডের বাইরে বিশ্ব চলচ্চিত্র

স্বর্ণপামজয়ী ফরাসি নির্মাতা জ্যাক অদিয়াঁরের নতুন সিনেমা ‘এমিলিয়া পেরেজ’। নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন এমন এক মেক্সিকান মাদকসম্রাটকে নিয়ে মিউজিক্যাল ক্রাইম কমেডি ঘরানার ছবিটি তৈরি হয়েছে। চলতি বছর কান উৎসবে হইচই ফেলে দেওয়া সিনেমাটি গোল্ডেন গ্লোবেও সর্বোচ্চ মনোনয়ন পেয়েছে।

বছরের আলোচিত অ-ইংরেজিভাষী অন্য দুই সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ ও ‘অল ইউ ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাতও কান থেকেই হয়েছে। এর মধ্যে তিন দশক পর প্রথম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে কানে জায়গা করে নিয়েছিল পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’। ছবিটি কানে গ্রাঁ পি জেতে। এশীয় সিনেমার মধ্যে আরও উল্লেখ করতে হবে ‘এক্সহুমা’র কথা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়, পরের সপ্তাহেই কোরিয়ায় মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরপর জং জে-হিউনের ছবিটি টিকিট বিক্রির রেকর্ড গড়ে। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি আয় করা কোরীয় সিনেমাও এটি।

আলোচিত ১০ অ-ইংরেজিভাষী সিনেমা

‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’, ‘দ্য কাউন্ট অব মন্টে ক্রিস্টো’, ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ‘ভারমিংলিও’, ‘অল ইউ ইমাজিন অ্যাজ লাইট’, ‘এক্সহুমা’, ‘১৮*২ বিয়ন্ড ইয়ুথফুল ডেজ’, ‘আ পার্ট অব ইউ’, ‘আই অ্যাম স্টিল হেয়ার’, ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডল’।

আরও পড়ুন