শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:২৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর বিদায়ের পরেই আমেরিকায় ‘বিপজ্জনক গোষ্ঠীশাসন’ শুরু হতে চলেছে। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে এ কথা বলেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউসে তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম না নিলেও বিদায়ী ভাষণে বাইডেনের ‘নিশানা’ ছিল স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘বিপুল সম্পদ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি নিয়ে একটি অভিজাত গোষ্ঠীর শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। আমাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ২০১৬-২০ সালে নানা বিতর্কিত পদক্ষেপ করেছিলেন। সে দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বুধবার বলেন, ‘আমেরিকার নাগরিকদের ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। খর্ব হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা।’
ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কথা বলেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, ক্ষমতাশালীরা তাদের অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব খাঁটিয়ে সেগুলো নষ্ট করে দিতে চায়।’ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে এর আগে তামাশা বলে মন্তব্য করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বাইডেনে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নিজের দলের মধ্যেই। গত বছরের আগস্টে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে তিনি নিজেই দলের প্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম সুপারিশ করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিদায়বেলায় সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল বাইডেনের গলায়।
গত ১০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ বারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি ট্রাম্পকে হারাতাম। হ্যাঁ, পারতাম এবং আমি মনে করি কমলাও ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন।’
যদিও নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বলছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলাকে ইলেক্টোরাল কলেজে বিপুল ব্যবধানে (৩১২-২২৬) পিছনে ফেলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। সোমবার তাঁর হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে অধিষ্ঠানের পালা।