শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫২, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি লাভের পথে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটা মাইলফলক।
পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবকুমার ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুবের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আলাদা বাণী দিয়েছেন।
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ছয় দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা।’
মহান দিবসটি স্মরণে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলে অর্জিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সবার দায়িত্ব হলো সেই মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, যাতে আমরা একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।’