শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪০, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০২, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সূত্র ধরে অভ্যুত্থানের মুখে সরকার পরিবর্তনের পর গত পাঁচ মাসে গাজীপুরের ৫১টি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। একের পর কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক। নিদারুন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে সপরিবারে মানবেতর দিনযাপন করছেন তাঁরা।
এসবের মধ্যে ৪১টি কারখানা স্থায়ীভাবে এবং ১০টি কারখানা অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। আর নানা সমস্যার কথা জানিয়ে আগামী মে মাস থেকে আরো সাতটি কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে কেয়া গ্রুপ।
এসব বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন হাজারো কর্মহীন শ্রমিক। একারণে প্রায়ই মহানগরীর কোনো না কোনো সড়ক-মহাসড়ক বন্ধ থাকছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভ সামাল দিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মত নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। সর্বশেষ গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট্রের মালিকানাধীন গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
শিল্প নগরী হিসাবে পরিচিত রাজধানীর লাগোয়া গাজীপুর বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয়েছে। সস্তা আবাসন ও সহজলভ্য কাজের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কয়েক লাখ শ্রমিকের আবাস গাজীপুর। মহানগর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর এলাকায় গড়ে ওঠা হাজার হাজার কারখানায় কাজ করেন তাঁরা। তাঁদের উপর নির্ভর করে ছোট-বড় অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সড়ক পরিবহন খাতে নতুন কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ছোটবড় মিলিয়ে মোট নিবন্ধিত কারখানা আছে ২ হাজার ১৭৬টি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ১৫৪টি। গত নভেম্বর থেকে ৩৫টি তৈরি পোশাক কারখানা কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি, যা মোট কারখানার ২ শতাংশ। ডিসেম্বর থেকে ৪৫ শতাংশ কারখানায় বেতন বকেয়া পড়েছে। নানা কারণে গাজীপুরের ৫ শতাংশ কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজমান। ৯ শতাংশ কারখানায় ইনক্রিমেন্ট নিয়ে জটিলতা চলছে। এমন বাস্তবতায় ১ হাজার ১৫৪টি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে ৪১টি এবং অস্থায়ীভাবে ১০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।