শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৯:০৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
লালবাগ কেল্লা
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় শীতকাল। ক্রমাগত উষ্ণ হতে থাকা বাংলাদেশ, শীতকালে তার চিরাচরিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফিরে পায়। সেই সৌন্দর্যের মোহে আবিষ্ট হয়ে দীর্ঘ শিশির ভেজাপথ হেঁটে গেলেও ভর করবে না কোনো ক্লান্তি। থাকবেনা ভয়াবহ গরমে ক্লান্ত হওয়ার ভয়, থাকবে না বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত সড়কের ঝামেলা।
যান্ত্রিকতায় আচ্ছন্ন এই শহুরে জীবনে খুব কমই সুযোগ আসে ঘুরে বেড়াবার। সপ্তাহ জুড়ে মনে হয় অদৃশ্য এক শিকলে বন্দী এই প্রাত্যহিক যাপিত জীবন। তবুও যদি সপ্তাহ শেষে একটু আধটু অবসর আসে, তাহলে মন তখন উড়তে চাই উন্মুক্ত বিহঙ্গের মত। প্রিয় মানুষ কিংবা পরিবার নিয়ে বের হওয়ার জন্য আমরা সাধারণত ছুটির দিনটাকে বেছে নিই। থাকে না অফিসের কাজের চাপ, বাচ্চাদের স্কুল কিংবা পড়ালেখা।
দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায় এমন দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার আগ্রহ থাকে কর্মবন্ধী মানুষের। সল্প সময়ের এই ভ্রমণ একদিকে যেমন চিত্তবিনোদনের চাহিদা মেটায় অন্যদিকে তেমন কর্মময় জীবনে নতুন করে কাজের উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। রাজধানীতে একদিনে ঘুরে আসা যায় এমন কিছু দর্শনীয় স্থান-
লালবাগ কেল্লা
লালবাগ কেল্লা ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত। সম্রাট আওরঙ্গজেব লালবাগ কেল্লা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও তাঁর পুত্র যুবরাজ শাহজাদা আজম ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে লালবাগ দূর্গের নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন।
শুরুতে লালবাগ কেল্লার নাম দেয়া হয়েছিল আওরঙ্গবাদ দূর্গ বা আওরঙ্গবাদ কেল্লা। পরবর্তীতে ১৬৮৪ খিষ্টাব্দে সুবেদার শায়েস্তা খানের কন্যা ইরান দুখত পরীবিবি মারা যাওয়ার পর তিনি দূর্গটি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন। ১৮৪৪ সালে আওরঙ্গবাদ এলাকাটির নাম পরিবর্তন করে লালবাগ রাখা হয়। এলাকার নামের সাথে সাথে কেল্লাটির নামও পরিবর্তিত হয়ে লালবাগ কেল্লা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে
দেখার মত যা রয়েছে
লালবাগ কেল্লার তিনটি বিশাল দরজার মধ্যে যে দরজাটি বর্তমানে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া সেই দরজা দিয়ে ঢুকলে বরাবর সোজা চোখে পড়ে পরী বিবির সমাধি। সচরাচর টেলিভিশনে, খবরের কাগজে, ম্যাগাজিনে লালবাগ কেল্লার যে ছবিটি দেখা যায় সেটা মূলতঃ পরী বিবির সমাধির ছবি। কেল্লার চত্বরে আরও তিনটি স্থাপনা রয়েছে-
কিভাবে যাবেন
ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে আপনি লালবাগ কেল্লায় যেতে পারবেন। গুলিস্তান থেকে রিকশা অথবা সিএনজিতে চড়ে আপনি সরাসরি লালবাগ কেল্লায় যেতে পারবেন।
এছাড়া আপনি ঢাকার নিউমার্কেট, শাহবাগ কিংবা আজিমপুর বাসস্টান্ড থেকে লালবাগ কেল্লায় যেতে পারবেন। যদি লাইন বাসে যেতে চান তাহলে আপনাকে নামতে হবে আজিমপুর এতিমখানা বাসস্ট্যান্ড।
সেখান থেকে রিকশায় মাত্র ২০-৩০ টাকায় আপনি পৌঁছে যাবেন লালবাগ কেল্লায়। নিউমার্কেট থেকে রিকশায় যেতে চাইলে আপনাকে ৪০-৫০ টাকা গুনতে হবে।
প্রবেশ টিকিট মূল্য
বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য টিকিট মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা, সার্কভুক্ত দেশের পর্য়টকদের জন্য ১০০ টাকা, বিদেশী পর্যটকদের টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা। ৫ বছরের নীচে বাচ্চাদের প্রবেশের জন্য টিকিটের প্রয়োজন নেই।
লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের সময়সূচী
মনে রাখতে হবে লালবাগ কেল্লা রবিবার বন্ধ থাকে এবং সোমবার অর্ধ দিবসের জন্য বন্ধ থাকে। এছাড়াও সকল বিশেষ সরকারী ছুটির দিনে লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে। গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল অনুযায়ী লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের সময়সূচি পরিবর্তিত হয়।
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস (গ্রীষ্মকাল)
রবিবার – সাপ্তাহিক বন্ধ
সোমবার – দুপুর ২:৩০ থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত
শুক্রবার – সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৬ টা (মাঝে দুপুর ১২:৩০ থেকে ২টা পর্যন্ত বন্ধ)
সপ্তাহের বাকি দিন – সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬ টা (মাঝে দুপুর ১:০০ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত বন্ধ)
অক্টোবর থেকে মার্চ (শীতকাল)
রবিবার – সাপ্তাহিক বন্ধ
সোমবার – দুপুর ২:৩০ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত
শুক্রবার – সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা (মাঝে দুপুর ১২:৩০ থেকে ২টা পর্যন্ত বন্ধ)
সপ্তাহের বাকি দিন – সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা (মাঝে দুপুর ১:০০ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত বন্ধ)
সরকারি বিশেষ ছুটির দিন গুলোতে লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।
চন্দ্রিমা উদ্যান
চন্দ্রিমা উদ্যান ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি এখানে অবস্থিত। সমাধিকে কেন্দ্র করে এখানে সমাধি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই উদ্যানটি এবং লেকটি দেখতে আসেন।
সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যান যেন পাখির অভয়ারণ্য। সেখানে গাছের ডালে, আকাশ জুড়ে পাখির সমাগম। হরেক রং ও প্রকৃতির পাখিগুলো সবাইকে মুগ্ধ করে। কিছু পাখির নাম জানা, বাকি সব অজানা প্রজাতির। এ যেন এক পাখির রাজ্য।
৭৪ একর বনভূমির পাম গাছ, ঝাউ গাছ, আকাশিয়া গাছ, আম গাছ, কাঁঠাল গাছ, বকুল গাছ, জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হরিতকী, নিম, মেহগনি, কড়ইসহ আশপাশের যে কোনো গাছের মগডালে তাকালে সেখানেই পাখি বসে আছে না হয় উড়ছে, শব্দ করে ডাকছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা শহরেরে যেকোন স্থান থেকে সিএনজি, বাস, প্রাইভেটকার কিংবা মোটর রাইড সার্ভিসে করে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত চন্দ্রিমা উদ্যানে আসতে পারেন।
দেখার মত যা রয়েছে
আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিলকে ঢাকা শহরের প্রথম ইট-পাথরের তৈরি স্থাপত্য নিদর্শন মনে করা হয়। তৎকালীন নবাবদের হাতে এই ভবনেই সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠে। এক সময় ঢাকা শহরের সবচেয়ে উঁচু গম্বুজ ছিল আহসান মঞ্জিলের প্রাসাদের ছাদের ওপরের সুন্দর গম্বুজটি। রাজধানীর পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় মাথা উঁচু করে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে নবাবদের তৈরি ১৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই কৃতী।
শেখ এনায়েত উল্লাহর তৈরি প্রমোদভবনটি একসময় নবাবদের আবাসিক ভবন ও জমিদারদের সদর কাচারি হিসেবে চালু থাকলেও বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৮৫৯ সালে নওয়াব আব্দুল গনি এটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন ও ১৮৭২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। প্রাণপ্রিয় পুত্র খাজা আহসান উল্লাহর নামে এর নামকরণ করা হয় ‘আহসান মঞ্জিল’।
১০ নং রুম দিয়ে দোতলায় ওঠার জন্য পাকা সিঁড়ি আছে। দোতলায় আছে মাওলানা আকরাম খাঁ, এ.কে ফজলুল হল, হরপ্রসাধ শাস্ত্রী, বিপিন চন্দ্র পাল, সৈয়দ আমীর আলী, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বেগম রোকেয়া, কাজী নজরুল ইসলাম, হাছন রাজা, জগদীশ চন্দ্র নসু, দীন বন্ধু মিত্র, প্যারিচাঁদ মিত্র প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের প্রতিকৃতি।
কীভাবে যাবেন
আহসান মঞ্জিলে যেতে ঢাকার সদরঘাটগামী যে কোনো বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে কিংবা ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় আহসান মঞ্জিল যেতে পারবেন।
অথবা ঢাকার যে কোনো জায়গা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত এসে রিকশা অথবা সিএনজি নিয়ে সদরঘাট হয়ে আহসান মঞ্জিল দেখতে যেতে পারেন।
দেখার মত যা রয়েছে
আহসান মঞ্জিল টিকেট মূল্য
আহসান মঞ্জিলের গেইটের বাইরে থেকে প্রবেশ টিকেট কাটতে পারেন ইচ্ছা করলে।
বাংলাদেশিদের জন্য ৪০ টাকা, বাচ্চাদের জন্য ২০ টাকা, বিদেশিদের জন্য ৫০০ টাকা, সার্ক ভুক্তদেশের নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা।
প্রবেশের সময়সূচী
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এছাড়া অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনও বন্ধ থাকে আহসান মন্জিল।
গ্রীষ্মকালীন সময়সূচী: (শনিবার-বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫ টা। শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা।
শীতকালীন সময়সূচী: (শনিবার-বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা। শুক্রবার বিকাল আড়ালটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা।
রমনা পার্ক
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রমনা পার্ক একটি ঐতিহ্যবাহী ও মনোমুগ্ধকর উদ্যান, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সাক্ষী। প্রায় ৬৮.৫০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই পার্কটির ইতিহাস শুরু হয় ১৬১০ সালে, যখন এটি পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে বর্তমান সড়ক ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বর্তমানে পার্কটি সবুজে ঘেরা ছায়াময় পরিবেশে বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য আদর্শ স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রমনা পার্কের সবচেয়ে বিখ্যাত অংশটি হলো বটমূল, যেখানে প্রতি বছর ছায়ানটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্কে প্রায় ২১১ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যার মধ্যে পাদাউক, কেয়া, কৃষ্ণচূড়া ও বিভিন্ন মৌসুমী ফুলের সমাহার দেখা যায়। এসব উদ্ভিদের ছায়ায় ঢেকে থাকে পার্কের প্রতিটি কোণ।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে রমনা পার্কে আসতে চাইলে আপনি সহজেই সিএনজি, ট্যাক্সি বা বাস ব্যবহার করতে পারেন। শাহবাগ এলাকায় পৌঁছার পর শিশুপার্কের পাশ দিয়ে কিছুটা সামনে এগোলেই রমনা পার্কের প্রধান প্রবেশ পথ চোখে পড়বে।
দেখার মত যা রয়েছে
রমনা পার্কে বর্তমানে প্রায় ২১১টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৮৭টি শোভাবর্ধক ও ফুলের গাছ, ৩৬টি ফলের গাছ, ৩৩টি ঔষধি গাছ, ৩টি কৃষি বনায়নের গাছ, ২টি বনজ উদ্ভিদ, ২টি জলজ উদ্ভিদ এবং ৩টি মশলা জাতীয় গাছ অন্তর্ভুক্ত। এই বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদের সমারোহ পার্কটির সৌন্দর্য এবং পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের সকালে রমনা পার্কের বটমূলে আয়োজন করা হয় বাংলা নববর্ষ বরণের বিশেষ অনুষ্ঠান। এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা সংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট, যারা ১৯৬৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থতি জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বন্যপ্রাণির এমন এক সংমিশ্রণ যেখানে পরিবারকে নিয়ে কল্পনার বাস্তবজগতে হারিয়ে যাওয়া যায়। উপলব্ধি করা যায় ও দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দূর্লভ, বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণি।
এ চিড়িয়াখানায় যে শুধু ভ্রমণপ্রেমীরা ঘুরতে আসেন তেমনটাও নয়। এখানে অনেকেই নিজের বন্ধু-বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্যে হারিয়ে যায়। আদান-প্রদান করে মনের অনুভূতি-ভালবাসা।
মিরপুর চিড়িয়াখানা
মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা এমন একটি চিড়িয়াখানা, যেটি দক্ষিণ এশিয়ার চিড়িয়াখানার মধ্যে প্রাণির সংখ্যা ও দর্শনার্থী আগমনের বিচারে সবচেয়ে বড়। এখানে চাইলে পরিবারকে নিয়ে সারাদিন ঘুরতে পারবেন আর দেখতে পারবেন অজানা সব প্রাণী।
হরিণ খেকে শুরু করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ময়ূর, হাতি, গণ্ডার, জিরাফ, বানর, সিংহ, অজগর সাপ, জলহস্তি, ভাল্লুক, হাতি, কুমির, জেব্রা, পানকৌড়ি ইত্যাদি প্রাণী। এছাড়া চিড়িয়াখানায় আছে সুন্দর লেক। যেখানে বসে মনের অজান্তেই হারিয়ে যাওয়া যায়।
চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেই দেখতে পাবেন হরিণ। আর এই দৃশ্য আপনাকে প্রথমেই মুগ্ধ করবে। এ দৃশ্য ভুলতে না ভুলতেই একটু সামনে গিয়ে দেখতে পাবেন বানরের খেলা করার দৃশ্য।
যে দৃশ্য ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ ব্যাক্তিও মুগ্ধতার সহিত অবলোকন করে। এই জায়গার ভেতরে বানরদের গোসল করার জন্য ছোট ২টি পুকুর আছে। যেখানে প্রায় সময়ই বানরের ছোট ছোট বাচ্চাদের গোসল করতে দেখা যায়। আর এ দৃশ্যটি ছোট্ট বাচ্চাদেরকে বেশি আনন্দ দিয়ে থাকে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে মিরপুরগামী লোকাল বাস অথবা সিএনজি করে একদম চিড়িয়াখানা গেইটের কাছে যেতে পারবেন।
এছাড়া ব্যাক্তিগত গাড়ি ও নিয়ে যাওয়া যায়। তবে অনেক সময় ডিরেক্ট বাস না পেলে মিরপুর ১ এর যে কোনো বাসে উঠে সনি সিনেমা হলে নেমে সেখান থেকে রিকশায় করে যেতে পারবেন।
প্রবেশের সময়সূচী:
মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে, রবিবার যদি কোন সরকারি ছুটির দিন হয়, সেই দিন চিড়িয়াখানা খোলা থাকে।
গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল-অক্টোবর):
খোলার সময়: সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত।
বন্ধের সময়: প্রতি রবিবার (সরকারি ছুটি ব্যতীত)।
শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ):
খোলার সময়: সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
বন্ধের সময়: প্রতি রবিবার (সরকারি ছুটি ব্যতীত)।
ঈদের ছুটি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী, পহেলা বৈশাখ এবং জাতীয় শোক দিবস সহ সকল সরকারি ছুটির দিনে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। যদি এই দিনগুলো রবিবারে হয় তবুও এই দিনগুলোতে সাধারণত চিড়িয়াখানা খোলা থাকে ।
মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য (২০২৪)
প্রাপ্তবয়স্ক (১২ বছর ও তার বেশি)- ৫০ টাকা
শিশু (৩ বছর থেকে ১১ বছর)- ২৫ টাকা
২ বছরের কম শিশু-বিনামূল্যে
৬০ বছরের বেশি বয়সী-বিনামূল্যে
প্রতিবন্ধী-বিনামূল্যে
স্কুল ছাত্র/ছাত্রী (সমুহ) ১০ (২০ জনের বেশি)
ফটোগ্রাফি ১০০
ভিডিও ক্যামেরা ৫০০