শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৩১, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪০, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সিউলে তাঁর বাসভবনে পুলিশ প্রবেশের চেষ্টা করলে গ্রেপ্তারে বাধা দিয়েছে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা। তদন্তকারীরা ৬ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে দেশটির প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা স্থগিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে প্রতিবেদনে জানা যায়, জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি লি দায়ে হুয়ানসহ তদন্তকারী কর্মীরা কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। ইওলের বাসভবনের ভেতরে থাকা সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের প্রতিহত করে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা এর আগেও ইওলের বাসভবনে পুলিশের প্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করেছেন। প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরে পুলিশের বেশ কয়েকটি বাস, কয়েক শ পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তদন্তকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিউলের আদালত ইওলের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার কারণে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত ‘লড়াই’করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন, যার ফলে তাকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুমোদন করে দেশটির একটি আদালত।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনা। দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ সিআইওকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইওলের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তার সমর্থকদের। তারা ইওলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। গত বৃহস্পতিবার ইওলের সমর্থকদের সঙ্গে ইওলবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ ও ১৩৫টি পুলিশের বাস।
স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ইওলকে গ্রেপ্তারের পর সিউলের নিকটবর্তী গোয়াচিওনে তাঁদের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে চান। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিধি অনুসারে তাঁকে হাজতে নিতে আরেকটি পরোয়ানার প্রয়োজন হবে।